স্বদেশ ডেস্ক:
সুনামগঞ্জের শাল্লার উপজেলার সংখ্যালঘু নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমর্থকদের হামলা লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দিরাই ও শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বিরুেদ্ধ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলামকে মৌলভীবাজারে জেলায় বদলি করা হয়েছে। শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করে বরিশাল রেঞ্জে পাঠানো হয়েছে।
দিরাই-শাল্লা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সফিয়ান এ ব্যাপারে বলেন, ‘প্রত্যাহার নয়, শুনেছি দুই থানার ওসিকে জেলার বাহিরে বদলি করা হয়েছে।’ যে সময় তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, তখন পর্যন্ত আদেশ সম্পর্কিত কোনো কাগজপত্র তার কাছে পৌঁছেনি।
অবশ্য সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘দিরাই থানার ওসি আশরাফুল ইসলামকে মৌলভীবাজারে জেলায় বদলি করা হয়েছে। শাল্লা থানার ওসি নাজমুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করে বরিশাল রেঞ্জে পাঠানো হয়েছে।’
ঘটনার ২০ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ দুই থানার ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ রাতে হেফাজত অনুসারীরা ফেসবুকের একটি পোস্ট নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা করে। গ্রামের ৮৮ টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়। ৫টি মন্দির ভাংচুর করা হয়। ১৭ মার্চ বুধবার সকাল ৯ টায় এ তাণ্ডব চালানো হয়। এ ঘটনায় ১৮ মার্চ থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়। শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম বাদী হয়ে ১৫০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন। নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে অন্য মামলাটি করেন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলায় পুলিশ ৩৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে ২২ মার্চ ঝুমনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে। অন্যদিকে গত ১ এপ্রিল সেই অভিযুক্ত ঝুমনের মা নিভা রানী দাস বাদী হয়ে ৭২ জনকে আসামি করে আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাল্লা জোনের বিচারক শ্যাম কান্ত সিনহার আদালতে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।